সুস্থ থাকতে চুমু খান

চুমুর মতো মিষ্টি অনুভূতি কমই হয়। ভালোবাসার প্রকাশ তো বটেই, দু’জন মানুষের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ প্রকাশ হল চুমু। এটি শারীরিক সম্ভোগ আর ফোরপ্লের একটা দারুণ জরুরি ধাপও বটে! শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে চুমু খাওয়ার আরও নানা স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে! দেখুন সেগুলি কী?

উদ্বেগ কমাতে: চুমু খাওয়ার মুহূর্তেই স্ট্রেস হরমোন মাত্রা কমে যায়। তাই প্রবল মানসিক অশান্তির মুহূর্তে প্রেমিককে চুমু খেলে অনেকটা শান্ত লাগে।

দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষায়: চুমু খেলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সঙ্গীকে চুমু খাওয়ার সময় পরস্পরের লালা মিশে যায় এবং তাতেই দাঁত, মাড়ি আর মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

মন ভালো থাকে: ভালোবাসার মানুষকে চুমু খেলে তো মন ভালো থাকবেই! আসলে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময় শরীরে একগুচ্ছ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। অক্সিটোসিন, ডোপামাইন আর সেরোটোনিন নামের এই সব হরমোন আপনাকে মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা করে তোলে এবং পার্টনারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বাড়িয়ে দেয়।

রক্তচাপ কমায়: চুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীরের শিরা আর ধমনীগুলো প্রসারিত হয়, তাতে শরীরে রক্ত স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে!

মুখের ব্যায়ামের পক্ষে আদর্শ: জানেন কি, চুমু খাওয়ার সময় আপনার মুখের ৩০টি পেশি সচল হয়ে ওঠে? ফলে মুখের একধরনের ব্যায়াম হয়ে যায়। পাশাপাশি চুমু খেলে প্রতি মিনিটে ২৬ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে! কাজেই জিমে যাওয়ার উপকারিতা পাবেন চুমু খেয়েই, ভাবতে পারেন!

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: ডিপ কিসের সময় পার্টনারের মুখের লালার সঙ্গে আপনার মুখের লালা মিশে যায়। ফলে আপনার শরীর নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। 

বয়সের ছাপ কমায়:চুমু খেলে মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। কাজেই মুখের ত্বক টানটান, সতেজ থাকে। কাজেই যত পারেন চুমু খান, সুস্থ থাকুন!

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় যৌন সঙ্গম


মানুষের শরীরেই হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা থাকে৷ সেক্স আমাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বজায় রাখে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়৷ তাই যারা নিয়মিত চেকাআপ করাতে পারেন না বা এই ধরনের সমস্যায় পড়তে চান না তারা এর বিকল্প উপায় হিসাবে সেক্সকে বেছে নিতেই পারেন৷

 

যৌনতার অভিজ্ঞতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস সমীক্ষায়

প্রথম যৌনতার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে অনেক বার অনেক রকমভাবে সমীক্ষা হয়েছে। তাতে প্রকাশ পেয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে জানা গিয়েছে, প্রথমবার যৌনতা নিয়ে একটা ছুঁৎমার্গ মেয়েদের মধ্যে রয়েছে।

মেয়েরা মনে করে, প্রথমবার সেক্স করলে নাকি তীব্র যন্ত্রণা পোহাতে হয়। মেয়েদের আর একটা সমস্যা রয়েছে। মেয়েরা আগে থেকেই ভেবে নেয়, যার সঙ্গে সে শারীরিকভাবে মিলিত হবে, তার সঙ্গেই সে সারাজীবন কাটাবে।

সমীক্ষা বলছে প্রথমবার শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার আগে এতকিছু মাথায় নিয়ে মিলিত হয় মেয়েরা। মেয়েদের এমন বদ্ধমূল ধারণার পিছনে কারণ যে নেই তা নয়। সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে, কুমারীত্ব হারানো মানে সেই মেয়েটিকে ‘নষ্ট’ তকমা দেয় সমাজ। আর সেই কারণেই কোনও পুরুষের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে পাঁচবার ভাবে মেয়েরা। অবশ্য এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়।

অন্যদিকে পুরষদের ক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি একেবারে উলটো। সমীক্ষা বলছে, ভার্জিনিটি হারানোর জন্য মুখিয়ে বসে থাকে ছেলেরা। কারণ এই সমাজই ভার্জিনিটি হারালে ছেলেদের ‘মাচো’ আখ্যা দেয়। ছেলেদের কাছে তা বিরাট ব্যাপার। তাই তারা ভার্জিনিটি নিয়ে রাখঢাক করে না। পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা বলছে, প্রথমবার মিলিত হওয়ার পর ছেলে ও মেয়েদের অনুভূতি হয় আলাদা। ছেলেদের মধ্যে এই সময় আত্মবিশ্বাস আর সন্তুষ্টি আসে। আর মেয়েরা ঠিক এর উলটোটা ভাবে। ছেলেরা ভাবে সেক্স করে তারা বিশাল কিছু পেয়ে গিয়েছে। নিজেদের ‘সেক্সি’ ভাবতে শুরু করে তারা। অন্যদিকে মেয়েরা ভাবে তাদের আকর্ষণ কমে গেল। 

সপ্তাহে কত বার হস্তমৈথুন করা দরকার?

হস্তমৈথুন নিয়ে নানা ভুল ধারণা আছে অনেকের মনেই। অনেকেরই ধারণা, হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের ক্ষতি হয়। কিন্তু নানা সময়ে নানা গবেষণাই প্রমাণ করে দিয়েছে, এর ফলে কোনও ক্ষতি হয় না। যৌনসঙ্গমের ক্ষেত্রে কিছু শারীরিক লাভ আছে। হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণে লাভ না থাকলেও, ক্ষতিও নেই।

কিন্তু হালের বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষেরা হস্তমৈথুন করলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এবং শুধু ক্যানসারই নয়, প্রস্টেট সংক্রান্ত অন্য সমস্যার মাত্রাও কমে নিয়মিত হস্তমৈথুনের ফলে।

সিদ্ধান্তে আসতে চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। ২০০৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার গবেষণা বিভাগের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দাবি করা হয়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে যে পুরুষেরা বেশি মাত্রায় যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হন, বয়স বাড়লে তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও বিজ্ঞানীরা তখন জানিয়েছিলেন, হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে বিষয়টি কী, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।

আগের গবেষণার ফলকে ভুল প্রমাণিত করে ২০০৮ সালেরই অন্য একটি গবেষণাপত্র। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, হস্তমৈথুন পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার উপকারিতাও টের পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার চিকিৎসকদের অন্য একটি গবেষণাপত্রও সমর্থন করে হার্ভার্ডের গবেষণাপত্রটিকে। বলা হয়, অল্প বয়স থেকে যে পুরুষরা নিয়মিত হস্তমৈথুন করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

কিন্তু কত বার হস্তমৈথুন করা ভাল?

এ বিষয় নিয়েও নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে অনেকের মধ্যে। অনেকেই মনে করেন, হস্তমৈথুন করা যেতে পারে, কিন্তু মাসে এক-দু’বারের বেশি নয়। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান তা বলছে না। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই হালে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সমীক্ষাটিতে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে পুরুষরা মাসে কমবেশি ২১ বার হস্তমৈথুন করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ কমে যায়। প্রায় একই কথা বলছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার চিকিৎসকদের সমীক্ষা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, যে পুরুষরা রোজ হস্তমৈথুন করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। 

যে ভাবে সহবাস করলে মেয়েরা অধিক আনন্দ লাভ করে

শুধু পদ্ধতি অনুসারে সেক্স করলেই মেয়েরা বেশি আনন্দ পাবে না যদি আপনি তাদের চরম পুলক বা অর্গাজম দিতে না পারেন। পুরুষের যেমন বীর্যপাতের সময় একটি চরম মুহুর্ত আসে ঠিক তেমনি নারীর একটি চরম মুহুর্ত আসে। কিন্তু নারীদের জন্য দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই চরম আনন্দ সব নারী পায় না। নারীর চরম তৃপ্তি পেতে যতক্ষণ যৌন মিলন চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ততক্ষণ সঙ্গী পুরুষ যৌন মিলন চালিয়ে যেতে পারে না। 

তাই নারীর চরম তৃপ্তি দিতে যৌন মিলনের পুরুষের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন। যৌন মিলনের আনন্দ বাড়াতে একই আসন প্রয়োগ না করে বরং বিভিন্ন আসন প্রয়োগ করে করেন। কোন আসনটি আপনাদের দুজনের মিলনের আনন্দ বেশি হয়েছে তা স্মরণে রাখবেন। যৌন মিলনের অধিক আনন্দ পেতে আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ ও নিয়ম বলে দেওয়া হল।

ডগি স্টাইল: যাদের লিঙ্গ আকারে ছোট এই পোজ তাদের জন্য বেশ মানানসই। এই পোজে মিলন করলে পুরুষাঙ্গ যোনির গভিরে প্রবেশ করতে পারে। 

কাউগার্ল স্টাইল: এই পোজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ভগ্নাঙ্কুর বা ক্লাইটরিস এ খুব সহজে লিঙ্গ স্পর্শ করতে পারে ও ঘষা খেতে পারে । এজন্যে মেয়েদের অর্গাজম খুব তাড়াতাড়ি আসে।

 

কিভাবে করবেন:

১. প্রথমে পা ছড়িয়ে বসুন বা শুয়ে পড়ুন।

২. এরপর আপনার সঙ্গীকে আপনার উপরে বসান । সে হাঁটু মুড়ে পা ভাজ করে বসবে।

৩. মেয়ের মুখ আপনার পায়ের দিকে থাকবে এবং পিঠ আপনার মুখের দিকে থাকবে।

৪. পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করান ।

৫. এবার মেয়ে ঘোড়া চড়ার ভঙ্গিতে উঠানামা করবে ।

৬. আপনিও নিচে থেকে উপরের দিকে তাল দিন ।

৭. এ পদ্ধতিতে খুব তাড়াতাড়ি মেয়েদের অরগাজম হবে। 

কত বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের যৌন চাহিদা থাকে?

গবেষকরা বলছেন যে যৌন কার্যকলাপের সময়, শরীরের দুটি হরমোন নির্গত হয়। এক, ডোপামিন অন্য, অক্সিটোকিন এই হরমোন মস্তিষ্ক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আরো sex, আরো হরমোন নির্গত হবে। ফলস্বরূপ, মস্তিষ্ক তাজা হবে।

কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হেইলি রাইট বলেন, “পুরাতন পুরুষদের যৌন জীবন হবে, এটা আমাদের সমাজকে মনে করতে ভালো লাগে না কিন্তু আমরা সমাজের এই ঐতিহ্যগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ৫০ বছর পর, এটি রাখা ভালো শরীরের সুস্থ। এর মানে হল যে উচ্চ বয়সের নিয়মিত Sex সঙ্গে গভীর সম্পর্ক আছে। 

সারাক্ষণ যৌন চিন্তা! হাইপার সেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার নয় তো? 

যৌনতার চিন্তা মাথায় থাকা কিন্তু খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। একটা নির্দিষ্ট বয়সে কী নারী, কী পুরুষ, সবাই একই রকম ভাবে কামতাড়িত হয়ে থাকেন। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে যখন ধীরে ধীরে শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয় আর কামবোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তখন প্রায় সারা ক্ষণই মাথার মধ্যে জেগে থাকে যৌনতার চিন্তা।

কিন্তু কখন বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে? সেটা নিয়েই এই পর্বে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্স অ্যাডিকশন বা হাইপারসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অর্থাৎ কোনও জায়গায় এসে সারাক্ষণ যৌনচিন্তা অস্বাভাবিক, সে বিষয়টি স্পষ্ট।

এই সেক্স অ্যাডিকশন বা হাইপারসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডারের মূলে কারণ হিসেবে কাজ করে অবসাদ, নানা ধরনের কাজ, অতিরিক্ত অবদমনের মতো কিছু বিষয়। পরিণামে কামবোধ অত্যন্ত প্রবল হয়ে ওঠে এবং তার হাত থেকে শান্তি পেতে নানা সময়ে অনেকেই নানা ভুল করে ফেলেন! যা পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং পরিবারের পক্ষে ভাল হয় না। কামবোধ সংযত করার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কীভাবে কামতাড়নার হাত থেতে নিজেকে শান্ত রাখা যায়? সেটা নিয়ন্ত্রণের জায়গায় থাকে, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সে বিষয়ে তিনটি উপায়। যার সবক'টিই কোনও না কোনও ভাবে ডেটিং অ্যাপের সূত্রে এগিয়েছে।

যৌন সঙ্গীর খোঁজ -এ ব্যাপারে ডেটিং অ্যাপের দ্বারস্থ হতে বলা হচ্ছে। আমাদের সমাজে অনেকেই এই পন্থায় যৌন সঙ্গী খুঁজে থাকেন, বিষয়টি অস্বাভাবিক বা নিন্দনীয়ও নয়।

সেক্সটিং - সেক্স আর টেক্সটিং- এই দুই জুড়ে তৈরি হয়েছে সেক্সটিং (Sexting) শব্দটি। অর্থাৎ ইচ্ছুক সঙ্গীর সঙ্গে লেখার মাধ্যমে যৌন আনন্দ লাভ করা। 

লজ্জা নয়, যৌনতা সম্বন্ধে যা আপনাকে জানতেই হবে

 

প্রতিদিন সেক্স আপনার শরীরকে রাখতে পারে আরো বেশী তরতাজা।সেক্স আপনার যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। এবার সেক্স নিয়ে উঠে এসেছে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

১.ডুরেক্স গ্লোবাল সেক্স সার্ভে জানাচ্ছে,  প্রেমিক-প্রেমিকারা বছরে গড়ে ১৩৯ বার মিলিত হন। এই বিষয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ফরাসিরা। তাঁরা বছরে গড়ে ১৬৭ বার মিলিত হন।

২. সুমধুর যন্ত্রসঙ্গীত মিলনকে আরও উদ্দীপ্ত ও আবেদনময়ী করে তোলে। বেডরুমে মোত্‍জার্ট বা 

 সিডি রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

৩. গোপনাঙ্গকে পরিষ্কার রাখতে গিয়ে বারবার কোনও বাজারচলতি রাসায়নিক ব্যবহার করা উচিত্‍ নয়। এতে মহিলাদের গোপনাঙ্গে যে 'হেলদি ব্যাকটেরিয়া' থাকে, সেগুলি ধুয়ে বেরিয়ে যায়।

৪. ডুরেক্সের সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৪ জন তাঁদের প্রিয় বন্ধুর পার্টনারের সঙ্গে মিলিত হতে পছন্দ করেন।

৫. 'ব্লু বল' রোগ হলে পুরুষদের বীর্যস্খলনে কষ্ট হয়।

৬. একজন স্বাভাবিক মহিলার গর্ভধারণে প্রায় ৮ মাস সময় লাগে। এই সময়টুকু মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। কিন্তু অধিকাংশ পুরুষই এই সময়টুকুকে উপভোগ করেন।

৭. বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, অনেকেই ভাবেন বীর্যে নাকি 'অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর' থাকে বলে মুখে মাখলে বয়সের ছাপ পড়ে না।

৮. শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সপ্তাহে অন্তত ৪ বার মিলনে লিপ্ত হওয়াটা স্বাস্থ্যকর।

৯. এক একবার পরিপূর্ণ মিলনে অতিরিক্ত রক্তচাপ কমে যায়, কমে স্ট্রেস।

১০. কোনও কারণে ডিপ্রেসড থাকলে সেক্সের চেয়ে ভাল দাওয়াই নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

১১. মিলনের আগে ততক্ষণ পার্টনারের সঙ্গে ফোর-প্লে করুন, যতক্ষণ না আপনাদের দু'জনেরই গোপনাঙ্গে খানিকটা ময়েশ্চার জমছে। এতে মিলনের সুখানুভূতি বাড়ে।

১২. এক টেবিল চামচ বীর্যে মাত্র ৩৬ ক্যালরি থাকে।

বাড়ছে ফিমেল কন্ডোমের ব্যবহার

মহিলা গর্ভনিরোধক বিষয়টি হল এটি একটি যন্ত্র যা গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে গর্ভাবস্থা রোধ করার দায়িত্ব মূলত মহিলার উপর থাকে তাই মহিলারা গর্ভনিরোধক সম্পর্কে বেশি এবং পুরুষদের এই বিষয়ে সীমিত জ্ঞান থাকে।

গর্ভনিরোধকদের সম্পর্কে নিজেকে আরও শিক্ষিত করতে, জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন মহিলা গর্ভনিরোধক সম্পর্কে যা গর্ভাবস্থা এবং সংক্রমণ রোধে ব্যবহার করা যেতে পারেঃ

১. মহিলা ডায়াফ্রাম বা জরায়ু কাপ:এগুলি এমন যন্ত্র যা যৌন মিলনের আগে যোনি বা ভ্যাজাইনাতে ঢোকাতে হয়।

এগুলি হয় কাপ আকৃতির, কিছুটা অগভীর বা গভীর। ডায়াফ্রামস বা সার্ভিকাল কাপগুলি এমন একটি স্পার্মাইসিডাল জেল দিয়ে পূর্ণ করা থাকে বলে মনে করা হয় যা শুক্রাণুকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ডায়াফ্রামস বা সার্ভিকাল কাপগুলি হরমোনজনিত নয় এবং এগুলি শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ রোধ করতে কেবল বাধা হিসাবে কাজ করে। এর ব্যর্থতার হার প্রায় ১৭ শতাংশ। ডায়াফ্রামস বা জরায়ুর কাপ অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। 

২. ফিমেল কন্ডোম: ফিমেল কন্ডোম হল গর্ভনিরোধকের আরও একটি যন্ত্র বা পদ্ধতি যা যৌন মিলনের প্রায় আট ঘন্টা আগে ভ্যাজাইনাতে প্রবেশ করাতে হয়। যৌন মিলনের পর এটি অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। এটির ব্যর্থতার হার প্রায় ১৪ শতাংশ, মহিলা কনডমগুলি সহজেই অনলাইনে পাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে সমস্ত মহিলা গর্ভনিরোধকগুলির মধ্যে কেবল মহিলা কন্ডমই যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।

৩. মহিলা গর্ভনিরোধক স্পঞ্জ: এটি স্পার্মিসিডাল জেল ভরা নরম ডিস্ক-আকারের স্পঞ্জ যা শুক্রাণুগুলিকে মেরে ফেলে। যৌন মিলনের আগে এটি যোনিতে বা ভ্যাজাইনাতে গভীরভাবে প্রবেশ করাতে হয়। সহবাসের পরে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা স্পঞ্জটিকে ভেতরে রেখে দিতে হবে। গর্ভনিরোধক স্পঞ্জ প্রায় ২৪ ঘন্টা যোনিতে বা ভ্যাজাইনাতে থাকতে পারে এবং ব্যর্থতার হার প্রায় ১৪-২৭ শতাংশ থাকে।